• ২২ আশ্বিন ১৪৩২, রবিবার ১২ অক্টোবর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Protest

রাজ্য

ভারতে ইজরায়েলি অর্থমন্ত্রী, প্রতিবাদে বিক্ষোভের ডাক এসএফআইয়ের

৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর তিন দিনের ভারত সফরে আসছেন ইজরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ। এই সফর ঘিরে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (এসএফআই)। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির অভিযোগ, বিজেপি সরকার ইজরায়েলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তি (BIT) স্বাক্ষরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ওই চুক্তির মাধ্যমে ভবিষ্যতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) করার পথ খুলে যাবে বলেও দাবি করেছে এসএফআই। তাদের মতে, এই পদক্ষেপ ভারতের ঐতিহাসিক নীতি ও আন্তর্জাতিক মর্যাদার পরিপন্থী।সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি আদর্শ এম সাজি ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ইজরায়েলি শাসনকে তারা অপরাধী রাষ্ট্র মনে করে, কারণ ফিলিস্তিনে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। সংগঠনের দাবি, এমন রাষ্ট্রের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো এবং বাণিজ্য চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবে।এসএফআই ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা করেছে। আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর সংগঠনের সমস্ত ইউনিটকে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। প্রতিবাদের মূল স্লোগান হবে বেজালেল স্মোটরিচ গো ব্যাক।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৫
রাজ্য

'এসএসসি-র নয়া নিয়োগ পরীক্ষায় ফের দাগিদের সুযোগ', বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

নয় বছর পর আবারও হতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষার আগেই উঠছে একাধিক প্রশ্নআসন্ন পরীক্ষা কি সত্যিই হবে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ? আর কি দেখা যাবে না অনিয়ম, কারও চোখের জল? প্রায় ৬ লক্ষ প্রার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই পরীক্ষার ওপর। তবু রাজনৈতিক মহলে সংশয় কাটছে না।এই পরিস্থিতিতেই আসানসোলে গিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, এখনও ১৫২ জন দাগি প্রার্থীকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছে এবং তাঁরা পরীক্ষায় অংশ নেবেন। যদিও তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি। শুভেন্দুর কথায়, ১৯৫৮ জন দাগি শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে ১৮০৬ জনের নাম প্রকাশ করেছে কমিশন। কিন্তু ১৫২ জনকে বাদ রাখা হয়েছে না, বরং তাঁদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ এক প্রহসনের পরীক্ষা। প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, টাকা নিয়ে কেন্দ্র ঠিক হয়েছে, তৃণমূল নেতারা পুলিশের সহযোগিতায় গোটা প্রক্রিয়াকে ভণ্ডুল করছে। এর ফল কিছুই হবে না, হবে কেবল অশ্বডিম্ব।অন্যদিকে, পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তিনি জানান, এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার। এর মধ্যে ৭ সেপ্টেম্বর নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসবেন ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৯১৯ জন প্রার্থী। আর ১৪ সেপ্টেম্বর একাদশ-দ্বাদশের জন্য বসবেন ২ লক্ষ ৪৬ হাজার জন। প্রথম দিনে গোটা রাজ্যে থাকছে ৬৩৬টি পরীক্ষা কেন্দ্র, দ্বিতীয় দিনে ৪৭৮টি কেন্দ্র।অর্থাৎ, দীর্ঘ বিরতির পর শুরু হতে চলা শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে প্রশাসন আশাবাদী হলেও বিরোধীরা মনে করছে এর মধ্যেও লুকিয়ে আছে অনিয়মের ছাপ

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

কলকাতা 'ল কলেজে ঘটনার প্রতিবাদ সামশেরগঞ্জে, পথে বামেরা

কলকাতার ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে সামসেরগঞ্জেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বামেরা। শনিবার বিকেলে DYFI এবং SFI এর নেতৃত্বে সামসেরগঞ্জের কাকুড়িয়ায় রাস্তা অবরোধ ঘিরে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।মুখ্যমন্ত্রীর কুশ পুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে বামেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও রাস্তা অবরোধে বাধা দেওয়ার সময় থেকেই পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয় বাম কর্মী সমর্থকদের। তামান্না খাতুনের খুনিদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপশি কলকাতার কলেজে ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান বাম কর্মী সমর্থকরা।

জুন ২৮, ২০২৫
স্বাস্থ্য

দিনের পর দিন কাজ করেও বেতন জোটেনি, শেষমেশ অবস্থান-বিক্ষোভ মালদা মেডিক্যাল কলেজে

দিনের পর দিন বেতন না মেলায় অবশেষে ক্ষোভ দানা বাঁধলো মেডিক্যাল কলেজের শতাধিক অস্থায়ী কর্মীদের মধ্যে। কাজ করেও তাঁদের বেতন জোটেনি। বকেয়া বেতন মেটানোর দাবিতে সোমবার সকাল থেকেই কর্মবিরতির ডাক দিলেন মালদা মেডিকেল কলেজের শতাধিক অস্থায়ী কর্মী। এদিন সকাল থেকেই মেডিকেল কলেজের ট্রমা কেয়ার ভবনের সামনের অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়েন অস্থায়ী কর্মীরা। যতক্ষণ পর্যন্ত বেতন সমস্যা না মেটানো হবে ততক্ষণ কর্মবিরতি চলবে বলেও সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হওয়া অস্থায়ী কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, পরিশ্রম করেও প্রতিমাসে নিয়ম করে বেতন মিলছে না। এই মেডিকেল কলেজের হাউসকিপিং, নিরাপত্তারক্ষী সহ বিভিন্ন বিভাগে প্রায় ১৮১ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। ১৪ ঘণ্টারও বেশি কাজ করেন প্রত্যেকেই। কিন্তু বেতনের সময় এলেই আর নিয়ম করে তা দেওয়া হচ্ছে না। অধিকাংশ অস্থায়ী কর্মীদের ছয় মাসের বেতন মেলেনি। আবার কেউ চার মাস এবং তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে এব্যাপারে গণস্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি দেওয়া হলেও কোনওরকম সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাই নিজেদের বকেয়া বেতনের দাবিতে এদিন কর্মবিরতির ডাক দিয়ে এভাবে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছে। এদিন বিক্ষোভকারী এক অস্থায়ী কর্মী অম্লান মিশ্র বলেন, আমি নিজে ছয় মাস ধরে বেতন পাইনি। অথচ মেডিকেল কলেজের প্রতিদিনই ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা ডিউটি করছি। আমার মতো শতাধিক অস্থায়ী কর্মী মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছে না। অথচ আমরা কর্তব্যে কোনও সময় গাফিলতি করি না। মালদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ পার্থ প্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, নির্দিষ্ট একটি এজেন্সির মাধ্যমেই ওই অস্থায়ী কর্মীরা কাজ করেন। এখানে মেডিকেল কলেজের কোনও হাত নেই। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

জুন ০৯, ২০২৫
রাজ্য

প্রকাশ্যে বিজেপির অন্তর্কলহ। বিধান নগরে বিজেপি কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত দলীয় কর্মীরা

মঙ্গলবার সকালে বিধান নগরের করুণাময়ী তে বিজেপি কর্মীদের একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। পুলিশ কর্মীর সাথে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের ভাইরাল হওয়া কথোপকথনের ভিত্তিতে, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তার হওয়ার দাবি নেই এদিনের বিক্ষোভসূচি। সেই মতো বিধান নগরের বিজেপি সমর্থকরা জমায়েত হয় করুনাময়ী। অভিযোগ এই সময় লেকটাউন অঞ্চলের বিজেপি নেতা পীযূষ কানরিয়ার নেতৃত্বে বেশ কিছু বিজেপি কর্মী এসে যোগ দেয় এদিনের বিক্ষোভসূচিতে। এরপরই তারা জড়িয়ে পড়ে নিজেদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজিত হয়ে ওঠে, নিজেরা নিজেদের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। বিধান নগরের বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করে পীযূষ কানুরিয়া লোকজন নিয়ে এসে তাদের উপরে হামলা করেছে। এমনকি পীঊশ কানরিয়াকে সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি কর্মী বলেও দাবি করে তারা। যদিও অপরদিকে পীযুষ কানারিয়া জানায় তাদের দল বড় হচ্ছে তাই এ ধরনের ঝামেলা। তবে তারা দলীয় বিষয় দলের ভেতরেই মিটিয়ে নেবেন বলেও দাবি করেছেন।

জুন ০৪, ২০২৫
রাজ্য

খাদ্যদ্রব্যে ক্ষতিকর রং মেশানোর অভিযোগে কান ধরে উঠবস! ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার ব্যবসায়ীরা

খাবারে রং মেশানোর অভিযোগে কয়েকজন দোকানিকে কান ধরে উঠবস করার অভিযোগ উঠল খাদ্য সুরক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।ঘটনাটি ঘটেছে, সাঁইথিয়া থানার আহমদপুরে। বৃহস্পতিবার ওই এলাকার খাবারের দোকানে পরিদর্শনে যান জেলা খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। সেখানে বেশ কিছু দোকানের ফ্রিজে দু-তিন দিনের পুরনো মাংস, মিষ্টি, তেলে ভাজা দেখতে পান। আধিকারিকরা সেই সমস্ত জিনিস নষ্ট করে দেন। এরপর লক্ষ্য করেন খাবারে মেশানো হচ্ছে নিম্নমানের রং। যে রং খাবারে মেশানো হচ্ছে সেটা মানুষের শরীরে ক্ষতিকারক। ক্ষতিকারক রং হাতেনাতে ধরা পড়ার পর কয়েকজন দোকানিকে কান ধরে উঠবস করান খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক। এনিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে ঘটনার বিরোধিতা করা হয়েছে।ব্যবসায়ী সুভাষ সাহু বলেন, আমার দোকানে কামধেনু রং পেয়েছিল। সেই অপরাধে আমাকে বেশ কয়েকবার কান ধরে উঠবস করিয়েছে। শুধু আমাকে নয়, বেশ কয়েকজন দোকানিকে একই শাস্তি দিয়েছে।সিউড়ি মারচেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, খাবারে কোন রং মিশিয়ে থাকলে দোকানদারকে জরিমানা করতে পারেন। নোটিশ দিতে পারেন। কিন্তু তিনি নিজে হাতে কোন শাস্তি দিতে পারেন না। বিষয়টি আমরা নিন্দা করছি। সঠিক জায়গায় আমরা অভিযোগ জানাব।জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক প্রসেঞ্জিত বটব্যাল বলেন, যে ভাবে মানুষের শরীরে রং ঢুকছে তাতে মানুষের শরীরের ক্যান্সার এবং অসংক্রমিত রোগ বাসা বাঁধছে। ওই দোকানি আমাদের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। তারা বলতে থাকে দামী রং দিতে পারব না। লোক চাইছে তাই কমা রং দিয়েই খাবার তৈরি করব। আমরা জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছি। প্রথম সাবধান করা হচ্ছে। পরে তাদের নোটিশ করা হবে। তারপর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মার্চ ১৪, ২০২৫
রাজ্য

প্রাক্তন সিবিআই অফিসার উপেন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ দেখালো বেশ কিছু আইনজীবী।

আইনজীবীদের দাবী.......আমাদের আন্দোলনের তিনটে ইস্যু এবং সোসাইটিকে একটি বার্তা দিতে চাই যে ওপেন বিশ্বাস আমাদের কাছে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের আইকন বলে আমরা মনে করতাম। কিন্তু দিনের শেষে যেটা উপলব্ধি করলাম দীর্ঘদিন উনি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মন্ত্রী থাকাকালীন, উনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য কোন কাজ করেননি। পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের লোকেদের উনি ব্যবহার করে খির খেয়েছেন বাড়ি বসে। তিনি ফোন ধরেন না দেখা করতে এলে দেখা করেন না। কিন্তু মহান ভগবতকে বাড়িতে ডেকে ভুরিভোজ খাওয়াচ্ছেন। পরবর্তীকালে প্রত্যেকটা লোক যারা ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসের নাম করে ক্ষীর খাচ্ছেন তাদের প্রত্যেকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ হবে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মিছিল হবে।

মার্চ ০২, ২০২৫
রাজ্য

সন্দেশখালিতে নির্যাতনের প্রতিবাদে অভিনব প্রতিবাদ মহিলা সমিতির

সন্দেশখালি নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সল্টলেক অভিনব প্রতিবাদ সর্বভারতীয় গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির। মঙ্গলবার বিকাল থেকে মুখে কালো কাপড় বেঁধে সল্টলেক সিটি সেন্টার মেট্রো স্টেশনের সামনে হাতে পোস্টার ব্যানার নিয়ে সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচার তথা সারা বাংলা জুড়ে সাধারণ মানুষের উপর তৃণমূলের অত্যাচারের প্রতিবাদে সামিল হয় সর্বভারতীয় গণতান্ত্রিক মহিলা সমিত। পাশাপাশি শেখ শাহজাহান এখনো অধরা, কুনাল ঘোষের বক্তব্য চাইলেই শেখ শাহজাহানকে এক সপ্তাহের মধ্যে ধরা যেতে পারে পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভকারীরা বলেন সরকারি মদতে শাহজাহানকে আশ্রয় দিয়ে রাখা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪
রাজ্য

স্কুল সহ রাজ্য সরকারি চাকরিতে বাংলা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে রাজপথে বিক্ষোভ বাংলা পক্ষ'র

১৮ ই ফেব্রুয়ারি রবিবার ডাব্লু বি সি এস (WBCS) সহ সব রাজ্য সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বাংলা ভাষায় পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা ও বাধ্যতামূলক ভাবে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা শিক্ষার দাবিতে কলকাতায় রাজপথে মহামিছিল করল বাংলা ও বাঙ্গালিত সংগঠন বাংলা পক্ষ। ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ঠিক তার প্রাক্কালে এই মিছিল ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর পাড়া হাজরা মোড় থেকে শুরু হয়ে বরীন্দ্রসদন চত্বরে শেষ হয় এই পদযাত্রা। এও পদযাত্রায় হাজার হাজার বাঙালি অংশগ্রহণ করেন।মূলত বাঙ্গালি যুব সমাজের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। এই মিছলের নেতৃত্ব দেন বাংলা পক্ষের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। মিছিল থেকে স্পষ্ট হিন্দি-উর্দু তোষণ বিরোধী আওয়াজ ওঠে। দাবী ওঠে বাংলার মাটিতে এই ধরনের কোনও তোষণ চলবে না। তাঁরা এও দাবী রাখে, WBCS এ হিন্দি-উর্দু ঢোকানো চলবে না। সমস্ত স্কুলে এবং রাজ্য সরকারি চাকরিতে বাংলা বাধ্যতামূলক করার জোরালো দাবী তোলে তাঁরা। তাঁদের দাবী, বাংলার সর্বস্তরের বিশিষ্টরা বাংলা পক্ষর পাশে আছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বাঙালির কথা ভাবার অনুরোধ বাংলা পক্ষের।সংগঠনের সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় জনতার কথাকে জানান- ভারতের অন্য রাজ্যে যা স্বাভাবিক বাংলায় তা অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে, বাংলা পক্ষ এই অবস্থার বদল চায়। আজকের এই মিছিলে বাঙালির স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে বাঙালি দল, ধর্মের ঊর্ধে বাংলা পক্ষর দাবির পাশে আছে। বাঙালি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরাও এই দাবিতে বাংলা পক্ষর পাশে আছেন। সার্বিক ভাবে বাঙালি নিজের অধিকারের দাবিতে জেগে উঠছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে যে চিঠি দেওয়া হচ্ছে, সমর্থন জানিয়ে তাতে স্বাক্ষর করেছেন প্রবীন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, শিক্ষাবিদ ও গবেষক পবিত্র সরকার, গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী, রূপম ইসলাম, অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী, কবি সুবোধ সরকার, নাট্যকার চন্দন সেন, ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য সহ সমাজের নানা ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত বাঙালিরা। সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে ভাষাদিবস পালন অর্থহীন, ভাষা কিভাবে বাঁচবে, বাঙালি কিভাবে বাঁচবে সেই বিষয়ে আন্দোলন দরকার। পথে নেমে বাঙালির দাবিতে সোচ্চার বাংলা পক্ষর আগে আর কেউ হয়নি এই বাংলার মাটিতে। আজকের এই মিছিলের গুরুত্ব এখানেই, হাজার বাঙালি আজ চাকরি থেকে স্কুল শিক্ষায় বাংলা বাধ্যতামূলকের দাবিতে পথে নেমেছে, সমর্থন জানিয়েছেন বাঙালি সমাজের বিভিন্ন জগতের কৃতী সন্তানরা, এ এক অভূতপূর্ব মেলবন্ধন। বাঙালির এই ঐক্যবদ্ধ দাবি বাংলার সরকারকে ভাবতে বাধ্য করবে বলেই তিনি আশাপ্রকাশ করেন।গর্গ চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক মাইতি ছাড়াও রবিবাসরীয় পদযাত্রায় বাংলা পক্ষের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চ্যাটার্জী, মনোজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, মনন মন্ডল, রজত ভট্টাচার্য, সম্রাট কর, ডাঃ আব্দুল লতিফ, মহঃ সাহীন, সৌম্যকান্তি ঘোড়ই সহ জাতীয় সংগ্রাম পরিষদ ও বিভিন্ন জেলা নেতৃত্ব।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
শিক্ষা

যাদবপুরে অস্বাভাবিক ছাত্র মৃত্যু নিয়ে গর্জে উঠল 'বাংলা পক্ষ', তোলপাড় বিশ্ববিদ্যালয়

আবার লাইমলাইটে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলা পক্ষের জানায়, সেখানে দৃষ্টিহীন ছাত্রী মালবাজারের রেনেসাঁ দাসের অস্বাভাবিক ছাত্র মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা আরও জানায়, দুই বহিরাগত ক্রিমিনাল সুরজ ঝাঁ ও পাপ্পূ সোনা গান্ধীর শারীরিক-মানসিক অত্যাচারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিহীন, মেধাবী বাঙালি ছাত্রী মালবাজারের রেনেসাঁ দাস আত্মহত্যা করেছে। খুনিদের শাস্তির দাবিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সভার অয়োজন করে বাংলা পক্ষ।বাংলা পক্ষের সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি জনতার কথাকে জানান, মৃতা রেনেসাঁ দাস জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারের বাসিন্দা। এই অস্বাভাবিক ছাত্র মৃত্যু-র প্রতিবাদে বাংলা পক্ষ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভে মুখর হয়। বাংলা পক্ষ ও ছাত্র সংগঠন বাংলা ছাত্র পক্ষ, ও প্রতিবাদ সভায় অংশ নেয়। খুন হওয়া বাঙালি মেয়ের খুনিদের শাস্তির দাবিতে গর্জে উঠে বাংলা পক্ষ।বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের জলপাইগুড়ি জেলার বোন, বাঙালি বোন রেনেসাঁ দাসকে অত্যাচার করে খুন করেছে দুই বহিরাগত জন্তু সুরজ ঝাঁ এবং পাপ্পু সোনা গান্ধী। লজ্জার কথা যে বিপ্লবের কথা বলা, বড় বড় রাজনীতির কথা বলা সব দল, সব ছাত্র সংগঠন আজ চুপ। মিডিয়ায় প্রাইম টাইমে টক শো নেই। কিন্তু বাংলা পক্ষ লড়ছে। বাংলা ছাত্র পক্ষ লড়ছে। এই গুন্ডাদের বাংলার মাটি থেকে উপড়ে ফেলবে বাংলা পক্ষ। খুনিদের ফাঁসি চাই। আমরা বাংলার মাটিতে কোনো কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত ক্রিমিনালদের আর মাথা তুলে দাঁড়াতে দেব না।সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, আজ যাদবপুরের বাকি ছাত্র সংগঠন গুলো খুনিদের বাঁচাতে ব্যস্ত। বোনের খুনিদের শাস্তির দাবিতে কেউ সোচ্চার নয়। কিন্তু ভাবুন তো যাদবপুরে বাংলা ছাত্র পক্ষর বড় সংগঠন থাকলে কোনো বহিরাগত জন্তু বাঙালি মেয়েকে অত্যাচার তো দূরের কথা, বাঙালি মেয়েদের দিকে কুদৃষ্টিতে তাকাতে পারতো? আমরা আগামীতে সব বড় ইউনিভার্সিটিতে সংগঠন খুলবো। আমরা যাদবপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৯০% ডোমিসাইল চালু করিয়েছি। এবার সব বিভাগে ডোমিসাইল চালু করাবো। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ডোমিসাইল চালু করাবো৷বাংলা ছাত্র পক্ষর প্রধান রণ ভট্টাচার্য বলেন, আমরা যাদবপুর সহ কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে, মেডিক্যাল কলেজে যাতে গ্রাম তথা জেলার ছেলেমেয়েরা অত্যাচারিত না হয় সেজন্য বাংলা ছাত্র পক্ষ সব জায়গায় লড়াই করবে এবং সংগঠন খুলবে। আমরা যাদবপুরকে বহিরাগতদের আবাদ ভূমি হতে দেব না।এছাড়াও এই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী, অর্ক ঘোষ, অভিজিৎ দে, কুশনাভ মণ্ডল, লীনা রায় সহ আরও অনেকে।

ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৪
রাজ্য

ফিরহাদের "বাংলায় একদিন ৫০% মানুষ উর্দু বলবে" বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ বাংলা পক্ষর

সামাজিক মাধ্যমে সাম্প্রতিক ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ফিরহাদ হাকিমের উর্দু তত্ত্বের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলো বাংলা পক্ষ। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে কলকাতার মেয়র তথা মমতা ব্যানার্জী-র কেবিনেট মন্ত্রীকে বলতে দেখা যায় একদিন বাংলায় ৫০% মানুষ উর্দু বলবে। পশ্চিমবঙ্গের বাংলা অ বাঞালীড় সংগঠন বাংলা পক্ষ জানায় এই বক্তব্য তীব্র বাঙালি বিরোধী, এটা বাংলাকে উর্দুস্তান বানানোর চক্রান্ত, উর্দু মানেই মুসলমানের ভাষা নয়, প্রতিটা মুসলমানের ভাষা উর্দু নয়। বাংলার ৯৫% মুসলমান জাতিতে বাঙালি, বাংলা ভাষায় কথা বলে।ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আজ রানুছায়া মঞ্চে বিক্ষোভ সমাবেশ করল বাংলা পক্ষ। বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, অরিন্দম চ্যাটার্জী, সৌম্য কান্তি ঘোড়াই, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে দাবি ওঠে- ফিরহাদ হাকিমকে বাঙালি তথা ভূমিপুত্রদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে হবে।এর আগে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও বাংলার মাটিতে উর্দু ভাষায় রাজ্য সরকারি পরীক্ষা দেওয়ার অধিকারের পক্ষে দাবি তুলে WBCS-এ বাংলা বাধ্যতামূলক করার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। বাংলা পক্ষ তখনও পথে নেমে প্রতিবাদ করেছিল।বাংলার মাটিতে বাংলা ও বাঙালির বিরুদ্ধে সকল দলে থাকা এই ধরনের বাঙালি-বিরোধীদের বাঙালি জাতির সামনে মুখোশ উন্মোচন করে যাবে বাংলা পক্ষ।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
কলকাতা

বিধাননগরে বিক্ষোভের মুখে ফিরে গেল বিজেপির প্রতিনিধি দল

রবিবার বিধাননগরের শান্তিনগর অঞ্চলের বাসিন্দা সাহেব আলীকে খুন করে বিট্টু সরদার। অভিযুক্ত বিট্টু সর্দারকে স্থানীয় মানুষরা ধরে ফেলে ও তাকে গণপিটুনি দেয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং পরে সেখান থেকে তাকে আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার দুপুরে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল নিহত সাহেব আলীর বাড়িতে যেতে চায় তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে।সেই মতো তাঁরা সুকান্তনগরে জড় হয় এবং সেখান থেকে মিছিল করে নিহত বাড়ির দিকে রওনা দেয়। নিহত সাহেব আলীর বাড়ির কিছুটা আগেই স্থানীয় মানুষ বিজেপির প্রতিনিধিদের আটকে দেয় এবং তারা বলে সেখানে কোন রাজনৈতিক রং চলবে না। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়, বিজেপির প্রতিনিধিদের রীতিমতো ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। যদিও পরবর্তীতে আবার নিহতের পরিবারের সাথে দেখা করতে আসবে বলেই জানিয়েছে বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তুষার কান্তি ঘোষ।

নভেম্বর ২৭, ২০২৩
রাজ্য

পর্যটন সহ নানা কাজে বাঙালি তথা ভূমিপুত্রদের অগ্রাধিকারের দাবিতে ভুটান সীমান্তে বাংলা পক্ষর প্রতিবাদ সভা

শীতের প্রাক্কালে যখন ভুটান ও তার সীমান্ত এলাকার মানুষজন শীতবস্ত্রের পসরা নিয়ে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিকিকিনির আসর জমাতে শুরু করে, ঠিক সে সময় আলিপুরদুয়ার জেলার ভুটান সীমান্তবর্তী জনপদ জয়গাঁতে বাঙালি তথা ভূমিপুত্রদের অগ্রাধিকারের দাবিতে বাংলা পক্ষ হাজির। জয়গাঁ বর্তমানে একটি অর্থনৈতিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বাংলার অন্যান্য জায়গার মত গুরুত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এখানেও বাড়ছে বহিরাগত দখলদারদের আগমন। জয়গাঁ সহ পুরো আলিপুরদুয়ার জেলায় বাঙালি, কোচ, মেচ, রাজবংশী, আদিবাসী, নেপালী সহ সমস্ত ভূমিপুত্রদের অধিকারের স্বার্থে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ। আলিপুরদুয়ারের ভূমিপুত্রদের কাজ দখল হচ্ছে। অটো, টোটো লাইন, হোটেল, পর্যটন সহ সকল কাজে বাঙালি তথা ভূমিপুত্রদের অগ্রাধিকারের দাবিতে এদিন সভা করে বাংলা পক্ষ। সভায় উপস্থিত থেকে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য তথা সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য সম্রাট কর ও জেলা পর্যবেক্ষক রজত ভট্টাচার্য। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন আয়োজক আলিপুরদুয়ার জেলার সম্পাদক উত্তম দাস। গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন জয়গাঁর সকল বাঙালি তথা ভূমিপুত্রদের ঐক্যবদ্ধ করবে বাংলা পক্ষ। এখানকার পর্যটন, হোটেল, পরিবহন এর মত গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা বাঙালির অধিকারে রাখতে হবে। সব ধরনের কাজ কাজে ভূমিপুত্রকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, কোন বহিরাগতর দাদাগিরি চলবে না।কৌশিক মাইতি তাঁর বক্তব্যে বিজেপির বাংলা ভাগ চক্রান্তের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাঙালি সহ ভূমিপুত্রদের সচেতন করেন, বাংলা পক্ষ বাংলা ভাগ হতে দেবে না বলে তিনি জানান। সভা ঘিরে এই সীমান্ত শহরের বাঙালি তথা ভূমিপুত্রদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত।

নভেম্বর ০৩, ২০২৩
দেশ

দিল্লিতে অভিষেকদের কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার, প্রতিবাদে আন্দোলনের ডাক বাংলায়

কৃষিভবনে রাজ্যের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ জানাতে গিয়ে দিল্লি পুলিশের হাতে আটক হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। শুধু তাই নয় টেনেহিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে আটক করা হয় তৃণমূলের নেতানেত্রীদের। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর কাছে অভিষেকের নেতৃত্বে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। মন্ত্রী দেখা তো করেনইনি। উলটে, রাত ৯টার পর বিশালসংখ্যক পুলিশবাহিনী কৃষিভবনে প্রবেশ করে। পুলিশ তৃণমূল নেতাদের জানায়, অবিলম্বে কৃষিভবন খালি করে দিতে হবে। কৃষিভবন বন্ধ করা হবে। তৃণমূল নেতারা কৃষিভবন থেকে বের হতে না-চাওয়ায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের প্রথমে চ্যাংদোলা করে, জোর করে কৃষিভবন থেকে বের করে দিল্লি পুলিশ।এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতাদের আটক করে বাসে চাপিয়ে পুলিশ লাইনে নিয়ে যায়। তিনটি বাসে চাপিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের নিয়ে যাওয়া হয়। পর্যন্ত তৃণমূলের আটক সাংসদদের উৎসব সদন মুখার্জিনগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানার ভিতর থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে এরপর তৃণমূলের প্রতিনিধিদের বাসে চাপিয়েই পুলিশ নিয়ে চলে যায় উৎসব সদন সশস্ত্র পুলিশের ক্যাম্পে। খবর পেয়ে রাতেই ক্যাম্পের বাইরে জড় হন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। রাত ১১টা নাগাদ তাঁদের পুলিশলাইন থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।এর আগেই তৃণমূল নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কৃষিমন্ত্রী গিরিরাজ সিং থাকবেন না। বদলে কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির কাছে মঙ্গলবার সন্ধে ৬টা নাগাদ বাংলার বঞ্চিত জব কার্ড হোল্ডারদের চিঠি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল অভিষেক-সহ তৃণমূল নেতৃত্বের। সময় মতই মন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছেও গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের নেতারা। তারপর প্রায় ঘন্টা তিনেক অতিক্রান্ত হলেও তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দেখা করেননি প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। উলটে তৃণমূল নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, পাঁচ জন এলে দেখা করতেন মন্ত্রী। কিন্তু, ৪০ জন এসেছেন, তাই তিনি দেখা করবেন না। এই কথা জানার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।বঞ্চিতদের চিঠি নিজের কাঁধে চাপিয়ে নিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী না দেখয় করায় তিনি কৃষি ভবনের মেঝেতেই বসে পড়েন। তাঁর দাবি, মন্ত্রী দেখা না-করা পর্যন্ত কৃষিভবন ছাড়বেন না। তাঁর দেখাদেখি কৃষিভবনের মেঝেতে বসে ধরনা শুরু করেন তৃণমূলের অন্যান্য প্রতিনিধিরাও। কৃষিভবনে ধরনা চলাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ওব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা অভিযোগ করেন, বিকেলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কৃষিভবনে এসেছিলেন। মন্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। কিন্তু, বঞ্চিতদের প্রতিনিধি তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে মন্ত্রী দেখা করেননি। উলটে একেকবার একেকরকম কথা বলে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের বিভ্রান্ত করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাত ৯টাতেও কৃষি ভবনে মন্ত্রীর অপেক্ষায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা।তার আগে রাত আটটার পর কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির দফতর থেকেই অপেক্ষমাণ তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ভিডিও বার্তায় বলেন, দেখা করব বলেছিলেন। ওঁনার দেওয়া সময় মতই আমরা এসেছি। দুপুরে উনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেছেন। বাংলার টাকা আটকে রাখার চিঠি নিয়েছেন। আর আমাদের সময় দিয়েও এখন মন্ত্রী বলছেন আসবেন না।কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা বাংলার বকেয়া অর্থের দাবিতে ৪০ জনের প্রতিনিধি নিয়ে এসেছেন। সেই প্রতিনিধিদলে আছেন বাংলার তৃণমূল সাংসদ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বহু মন্ত্রী এবং ১০০ দিনের কাজ করেও মজুরি থেকে বঞ্চিত বেশ কয়েকজন। এত লোকের সঙ্গে মন্ত্রীর দেখা করা সম্ভব নয়। সর্বাধিক তৃণমূলের পাঁচ জন প্রতিনিধি এলে দেখা করতেন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। এরপর তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে না-জানিয়েই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কৃষি ভবন থেকে বেরিয়ে যান বলে খবর পান তৃণমূল নেতৃত্ব।তৃণমূল নেতৃত্ব দিল্লিতে গ্রেফতার হয়েছে, সেই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দিল্লির রাজপথে নেমে পড়েন তৃণমূলের ছাত্র-যুবরা। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতেও শুরু হয় বিক্ষোভ। রাজ্য বিজেপির দফতরের বাইরেও বিক্ষোভ চলে। দিল্লিতে কৃষিভবনের বাইরেও তৃণমূল কর্মীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। কিন্তু, কৃষিভবনের বাইরে বিপুলসংখ্যক পুলিশকর্মী মোতায়েন ছিল।

অক্টোবর ০৪, ২০২৩
কলকাতা

বাংলা সহ নানা অহিন্দি রাজ‍্যে 'হিন্দি দিবস' এর নামে হিন্দি চাপানোর বিরুদ্ধে রাজপথে মশাল মিছিল

১৪ ই সেপ্টেম্বর দিনটি হিন্দি দিবস হিসাব পালিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি ও বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠন বাংলা পক্ষ আজকের দিনটিকে কালো দিন বলে আক্ষা দিচ্ছে৷ বাংলা পক্ষের মতে, বাংলা সহ সমস্ত অহিন্দি ভাষার দ্বিতীয় শ্রেণীর হওয়ার দিন ১৪ই সেপ্টেম্বর। বাংলা পক্ষের যুক্তিতে, ভারতীয় যুক্ত রাষ্ট্রের কেন্দ্র সরকার হিন্দি ভাষার ব্যবহার ও প্রসারকে উৎসাহিত করতে শুধু নয়, হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দিতে আজকের দিনটিকে বেছে নিয়েছে। শুধু আজকের দিনটিই নয় এক পক্ষকাল ধরে সব কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে হিন্দি পক্ষ পালনের নামে প্রশাসনিক থেকে শিক্ষা, সবস্তরেই হিন্দি ব্যবহার করতে উৎসাহিত বা বাধ্য করা হয়।বাংলা পক্ষ মনে করে, ভারতের মতো একটি বহুভাষিক যুক্তরাষ্ট্রে শুধুমাত্র একটি ভাষার জন্য এই উদ্যোগ সম্পূর্ণভাবেই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বিরোধী ও অহিন্দি জাতিগুলির মৌলিক অধিকার হরণের হীন প্রচেষ্টা। ভারতের হিন্দিভাষী অঞ্চল থেকে যে কর আদায় হয়, তার পরিমাণ অহিন্দি জাতিগুলির এলাকা থেকে আদায় হওয়া করের থেকে অনেক কম। অথচ সেই অহিন্দি জাতির করের টাকাতেই রাষ্ট্র জুড়ে হিন্দি ভাষার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে উৎসব হচ্ছে। ভারতের সব অহিন্দি জাতির মতোই বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন বাংলা পক্ষ এই বিমাতৃসুলভ আচরণের প্রতিবাদ করছে।বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন বাংলা পক্ষের সেই প্রতিবাদের একটি রূপ আজ দেখা গেল কলকাতার রাজপথে মশাল মিছিলের মাধ্যমে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে মশাল মিছিলে বাঙালির গর্জন দেখলো কলকাতার রাজপথ। বাংলা পক্ষ আজ রবীন্দ্রসদন চত্বর থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত এই মিছিলে অংশ নেন। মিছিলে দাবি ওঠে হিন্দি আগ্রাসন তথা হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংস করার। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক তথা শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, কলকাতা জেলার সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, উত্তর চব্বিশ পরগনা শহরাঞ্চলের সম্পাদক পিন্টু রায়, উত্তর চব্বিশ পরগনা শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক মামুদ আলি মন্ডল, উত্তর চব্বিশ পরগনা গ্রামীনের সম্পাদক দেবাশীষ মজুমদার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। মিছিল শেষে হাজরা মোড়ের পথসভা থেকে গর্গ চট্টোপাধ্যায়, আজকের দিনটিকে সকল অহিন্দি জাতির জন্য কালো দিন আখ্যাদিয়ে বলেন আজ থেকে প্রতিটা বছর বাংলা জুড়ে ১৪ ই সেপ্টেম্বর দিনটিকে মশাল মিছিল করে কালো দিন হিসাবে পালন করবে। আমাদের টাকায় মানে অহিন্দি জাতির টাকায় অহিন্দি জাতির উপর হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া চলবে না। বাংলা ভাষার সমানাধিকার চাই। আমরা হিন্দি বিরোধী না। আমরা হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী। আমরা হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের নখ -দাঁত উপড়ে দেব। আমরা সকল অহিন্দি জাতি একসাথে লড়াই করছি, লড়াই আরও জোরদার হবে।কৌশিক মাইতি বলেন বাংলা পক্ষ হিন্দি ভাষার বিপক্ষে নয়, কিন্তু হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার বিপক্ষে। বিহার, উত্তর প্রদেশে হিন্দি দিবস সাড়ম্বরে পালিত হোক, কিন্তু বাংলা, তামিলনাড়ুর মতো অহিন্দি রাজ্যে হিন্দি দিবস পালন মানে আগ্রাসন।

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩
রাজনীতি

তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বদলের দাবিতে মালদায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ

অঞ্চল সভাপতি ঘোষণা হতেই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকন্দল। পুনরায় কুশিদা অঞ্চলের সভাপতি মোহাম্মদ নুর আজমকে করায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন তৃণমূল কর্মীদের একাংশের। বিক্ষোভকারী তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ মোহাম্মদ নুর আজমকে তাঁরা সভাপতি হিসেবে মানবেন না। নুর আজম দুর্নীতিগ্রস্ত। এমনকি তিনি কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের পদেও রয়েছেন। তার পরিবর্তে অলোক পোদ্দারকে অঞ্চল সভাপতি করতে হবে বলে দাবি বিক্ষোভকারী তৃণমূল কর্মীদের। যদি বিহার থেকে লোক নিয়ে এসে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে পাল্টা দাবি মহম্মদ নুর আজমের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের অস্বস্তিতে শাসক দল। বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, তৃণমূলের শেষের শুরু এটা। আজকে কাটমানি কার হাতে যাবে কে কাট মানির ভাগ পাবে সেই নিয়ে তাদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল। এখানে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল আছে। এটা আরো বেশি প্রকট হচ্ছে। এটা হচ্ছে কাটমানি খাওয়ার রাশ দুর্নীতি করার রাস কার হাতে থাকবে। এটা নিয়েই তাদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল। কারণ তৃণমূল বুঝে গেছে মানুষ তাদের সঙ্গে নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানান, একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। ক্ষোভ বিক্ষোভ তো থাকতেই পারে। দুই দলকে নিয়ে বসে আলোচনা করা হবে দুই দলের কথাই শোনা হবে। কেন তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ রয়েছে। আর বিজেপিকে বলবো আমাদের দলের বিষয় নাক গলানোর কোন দরকার নেই। আমাদের দলের ব্যাপার আমরা মিটিয়ে নেব।

ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৩
রাজ্য

আবাস যোজনায় ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে, মালদায় পঞ্চায়েতে তালা দিয়ে বিক্ষোভ

সরকারি আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার ঘটনায় ক্রমশ উত্তাল হচ্ছে বাংলা। শুক্রবার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখালেন শতাধিক বাসিন্দারা। শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন এলাকায়। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ, প্রতিবাদ , আন্দোলন চলতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, প্রকৃত দুঃস্থ মানুষেরা সরকারি আবাস যোজনায় বাড়ি পাচ্ছে না বরং চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। যাদের এই প্রকল্পে ঘর পাওয়ার কথা, তাঁরাই নামের তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে। অথচ যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে তাদেরকে সেই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের একাংশ কাটমানির বিনিময়ে এই কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। যদিও সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত কর্তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।শুক্রবার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে আচমকায় শতাধিক বাসিন্দারা এসে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরে কর্মরত কর্মীরাও আটকে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, আমাদের দিনমজুরি করে সংসার চলে। টালির চালার বাড়ি। কারোর আবার টিনের ও চাটায়ের বাড়ি রয়েছে। এই আবাস যোজনার মাধ্যমে পাকা ঘর হবে সে ব্যাপারে দীর্ঘদিন আগেই আবেদন করা হয়েছিল। এক প্রস্তর সার্ভেও করা হয় পঞ্চায়েত থেকে। কিন্তু তারপরেও আমাদের তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে । এজন্যই এদিন এই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখিয়েছি। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ এবং ব্লক প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, সঠিক উপভোক্তাদের এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার। আগামীতে যদি এই আশ্বাস পূরণ না হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রূকসানা বিবি অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা প্রকৃত গরিব মানুষদের এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। সেই মতো কাজ করা হচ্ছে। এখানে কিছু মানুষ ষড়যন্ত্র করে পঞ্চায়েতকে অস্বস্তিতে ফেলার চেষ্টা করছে। তবে অভিযোগ উঠেছে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
রাজ্য

হুগলী শিল্পাঞ্চলের বেদখল জমি পুনরুদ্ধারের ডাক দিয়ে শ্রীরামপুরে মিছিল বাংলা পক্ষর

বাংলা পক্ষ হুগলীর শ্রীরামপুরে এক ঐতিহাসিক মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীরামপুরের বান্ধবসমিতির মোড় থেকে আরএমএস (RMS) ময়দান হয়ে বটতলা, জিটি রোড হয়ে মাহেশে এসে এই মিছিল শেষ হয়। হুগলী নদীর পাড়ের দখল হয়ে যাওয়া শিল্পাঞ্চলের প্রচুর সহযোদ্ধা এই মিছিলে যোগদান করে। স্থানীয় বাঙালির স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই মিছিলের সমর্থনে পা মেলায়।রবিবাসরীয় এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, অরিন্দম বিশ্বাস, মনন মণ্ডল, কালাচাঁদ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। এছাড়াও হুগলী জেলার সম্পাদক দর্পণ ঘোষ, কলকাতা জেলা সম্পাদক অরিন্দম চ্যাটার্জী, উত্তর ২৪ পরগণা (শিল্পাঞ্চল) এর সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ ও উত্তর ২৪ পরগণা (শহরাঞ্চল) এর সম্পাদক পিন্টু রায়।মিছিল শেষে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন দখল হয়ে যাওয়া হুগলী নদীর দুই পাড় পুনরুদ্ধার করতে হবে। ডানকুনির লজিস্টিক হাব সহ হুগলী শিল্পাঞ্চলে যে কাজের সুযোগ তৈরী হচ্ছে, সেখানে বাঙালির কাজ চাই। বাংলা পক্ষ আজ ঐতিহাসিক মিছিল করল। এই মিছিল দেখে হুগলীর বাঙালি তথা বাংলার বাঙালি বুকে বল পাবে। বাঙালির জনজোয়ার বুঝিয়ে দিচ্ছে গঙ্গার দুপারে বহিরাগতদের রাজত্ব শেষ হওয়া সময়ের অপেক্ষা।সংগঠনের শীর্ষ পরিষদ সদস্য তথা সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন রিষড়া, ভদ্রেশ্বর, চাঁপদানী বিহার না বাংলা বোঝা যায় না, বেশীর ভাগ কাউন্সিলার বহিরাগত, চারদিকে সিং গজিয়ে উঠছে। যে সিং বাঙালিকে গোঁতাতে আসবে আমরা তা ভোঁতা করে দেব। বাংলার চাকরি, কাজ, বাজার, পুঁজি সবকিছুর দখল আমরা চাই।শীর্ষ পরিষদ সদস্য তথা হুগলী জেলার ভূমি সন্তান মনন মণ্ডল বলেন, ব্যান্ডেল থেকে উত্তরপাড়া হুগলীর দুপাড়ে বাঙালি কোনঠাসা হয়ে গেছিল। বাংলা পক্ষর নেতৃত্বে বাঙালি আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে৷ ৩০ বছরের কম বয়সী ছেলেমেয়েরা মিছিলে হাঁটছে৷ এটা আগামীর স্বপ্ন দেখায়।হুগলী জেলা সংগঠনের সম্পাদক দর্পণ ঘোষ বলেন এই মিছিলে বাঙালির মনে যে আলোড়ন তৈরী হল, তা ঘরে ঘরে বাঙালিকে জাগিয়ে তুলবে। বাঙালি নিজের অধিকার বুঝে নেবে। কারখানায় কাজ থেকে অটো, টোটো লাইন থেকে ফুটপাথ- সর্বত্রই আমরা বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো। যে স্বপ্ন আমরা ৫ বছর আগে দেখেছিলাম, জিটি রোডের উপর বাঙালির গর্জন বুঝিয়ে দিচ্ছে বাঙালি দ্রুত জাগছে।

ডিসেম্বর ১২, ২০২২
রাজনীতি

কেন্দ্রীয় শ্রমআইন পরিবর্তনের প্রতিবাদ জানিয়ে বর্ধমানে আইএনটিটিইউসি-র প্রতিবাদ সভা

কেন্দ্রীয় সরকার পুরোনো ৪৪ টি শ্রম আইন বদলে দিয়েছে। নতুন শ্রম আইনে যদি ৩০০ জন পর্যন্ত শ্রমিক কাজ তাহলে তাদের যখন খুশি ছাঁটাই করে দেওয়া যাবে। তারা কোর্টে যেতে পারবে না, তারা শ্রম দপ্তরে ডিসপুট দিতে পারবে না। কত টাকা মাইনে মালিক দেবে, কতক্ষণ কাজ করবেন সবটাই মালিক ঠিক করবে। এই আইনের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে বলে জানালেন রাজ্যের শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক।রবিবার পূর্ব বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসির এক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে এসে এভাবেই কেন্দ্রীয় শ্রম আইনের বিরোধিতা করেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। রান্নার গ্যাস, পেট্রোল, ডিজেল সহ প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বর্ধমান স্টেশন চত্ত্বরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে জেলা আইএনটিটিইউসি। মলয় ঘটক ছাড়াও এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য আইএনটিটিইউসি সভাপতি ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রাসবিহারী হালদার, বিধায়ক অলোক মাঝি, বিডিএ চেয়ারপার্সন কাকলি গুপ্ত তা সহ একাধিক বিধায়ক ও তৃণমূল কংগ্রেসের শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব।এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেয়। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার শ্রমিকদের ৮ ঘন্টা কাজের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ৮ ঘন্টার পরিবর্তে শ্রমিকদের ১২ ঘন্টা করে কাজ করানো হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস সর্বশক্তি দিয়ে এটা প্রতিহত করবে। পাশাপাশি আইএনটিটিইউসি র গোষ্ঠীদ্বন্ধ নিয়েও সরব হন তিনি। এক জায়গায় একাধিক শ্রমিক সংগঠন করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে ঋতব্রত বলেন সবটাই নিয়ম মেনে করতে হবে। জেলা সভাপতির কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে রাজ্যে পাঠাতে হবে। নিয়মিত রিটার্ন দিতে হবে। জেলা সভাপতির অনুমতি মত সংগঠন তৈরি করতে হবে। যেখানে সেখানে ব্যাঙের ছাতার মত সংগঠন অফিস করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন রাজ্য সভাপতি।

নভেম্বর ০৬, ২০২২
দেশ

বাংলাদেশি অনুপ্রেবেশকারি সন্দেহে ব্যাঙ্গালোরে গ্রেপ্তার বর্ধমানের দম্পতি ও শিশুর মুক্তি দাবিতে ভাইফোঁটার দিন অভিনব কর্মসূচী বাংলাপক্ষর

পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের দম্পতি পলাশ অধিকারী, তার স্ত্রী শুক্লা অধিকারী ও তাদের দেড় বছরের পুত্র আদিকে গত ২৭ শে জুলাই, ২০২২ সালে বাংলাদেশী তকমা লাগিয়ে গ্রেপ্তার করেছে ব্যাঙ্গালোর পুলিস। FOREIGNERS ORDER ACT, 1948 (U/s-7(2)); FOREIGNERS ACT, 1946 (U/s-14 (B)) ধারায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সুত্রে জানা গেছে। পলাশ ও শুক্লা পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর বিধানসভা অন্তর্গত জৌগ্রামের বাসিন্দা। বাংলা পক্ষের শীর্ষ পারিষদ কৌশিক মাইতি জানান, বিজেপি শাসনাধীন কর্ণাটক সরকার বাঙালির উপর আক্রমণ করেই চলেছে ক্রমাগত। এর আগে বাঙালির বস্তি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। নানা সময় নানা বাঙালিকে বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বাংলা পক্ষ পলাশ, শুক্লা অধিকারী ও তাঁদের শিশু পুত্রের মুক্তির দাবিতে ভাইফোঁটার দিন কলকাতার রানুছায়া মঞ্চে অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচী করল। এইদিন তাঁরা প্রতীকি ভাইফোঁটার আয়োজন করে। ভাইফোঁটার বিশেষ আয়োজনে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বসত এক প্লেট মিষ্টি। কিন্তু আজকের এই আয়োজনে প্লেটে কোনও মিষ্টি ছিলো না, কপালে ভাইফোঁটা ছিলো না, কারণ হিসেবে তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্ধমানের বাঙালি বোন বাঙালি হওয়ার জন্য ব্যাঙ্গালোরের জেলে বন্দী, সেই বোন শুক্লা অধিকারী আজকের দিন জেলে থাকায় তাঁর ভাইয়েদের ফোঁটা দিতে পারেননি। এই অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা জেলার সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা বাঙালি ভাইবোনদের ব্যাঙ্গালোরের জেল থেকে মুক্ত করে আনবোই। বাঙালি হওয়া কি অপরাধ? বাঙালিকে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করা হচ্ছে নানা বিজেপি শাসিত রাজ্যে। আজকের এই পুণ্য ভাইফোঁটার দিনে আমাদের বোন শুক্লা ব্যাঙ্গালোরের জেলে বন্দি৷ আমরা ওদের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়বো। বাংলার সমস্ত চাকরি-কাজ- ব্যবসা দখল করছে বহিরাগতরা, বঞ্চিত হচ্ছে বাঙালিরা। বাধ্য হয়ে তারা অন্য রাজ্যে কাজে যাচ্ছে। তাই যাতে আর বাঙালিকে বাইরে কাজে যেতে না, বেসরকারি চাকরি- ঠিকা কাজ- টেন্ডারে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ সময়ের দাবি। আমরা সেই জন্যও লড়ছি।তিনি আরও জানান, বাংলা পক্ষ ঐ পরিবারের পাশে আছে, আমরা তাদের বাড়িও গেছিলাম, তাদের পরিবারের সাথে কথা বলেছি। স্থানীয় বিধায়ক অলোক মাঝি ও বাংলার প্রশাসনের সাথেও কথা বলেছে বাংলা পক্ষ। বাংলা পক্ষ ব্যাঙ্গালোরের পুলিস কমিশনারকে ইমেল করেছে, তাদের যাতে জেল থেকে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হয়।গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানান, পরিবারের থেকে আমরা একটা ভয়ংকর কথা জানতে পারি, ওনাদের আইনজীবী আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড জমা দিলেও জমির দলিলের ইংরেজি ভার্সান জমা দিতে বলা হয়েছে। বাংলা পক্ষ এই তিন বাঙালির মুক্তির জন্য ব্যাঙ্গালোরে নানা বাঙালি সংগঠন ও আইনজীবীদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছে। বাংলার বাইরে মূলত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোয় হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে বাঙালিকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী তকমা লাগিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। বাংলা পক্ষ এই সভা থেকে দাবী তোলে, ভারতে বাঙালি হিসাবে জন্মানো কি অপরাধ? তিনি আরও জানান, এর একটা বড় সমাধান, বাংলায় সমস্ত বেসরকারি চাকরি, ঠিকা কাজে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চাই। তাহলে বাংলার বাঙালিকে কাজের জন্য আর বাইরে যেতে হবে না।

অক্টোবর ২৭, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

১৪ বছর পর কলকাতায় মেসি! “মাঠ কাঁপাবে” ডিসেম্বরে?

কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল সুখবর! ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (Lionel Messi) তাঁর বহু প্রতীক্ষিত GOAT Tour of India 2025-এর জন্য এ বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা ময়দান মাতাতে আসছেন। ১৪ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার ভারতে ফেরা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে চলেছে।আগামী ডিসেম্বরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি তাঁর ভারত সফরের সূচনা করবেন কলকাতাতেই। আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, তিনি ১২ই ডিসেম্বর রাতে মহানগরে পৌঁছাবেন এবং ১৩ই ডিসেম্বর কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।কলকাতার আইকনিক সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) মূল অনুষ্ঠানগুলি হবে, যেখানে ২০১১ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলেছিলেন।GOAT কনসার্ট এবং GOAT কাপ, ১৩ই ডিসেম্বর এই দুটি প্রধান ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। GOAT কাপ হবে একটি সেলিব্রেটর সেভেন-এ-সাইড (seven-a-side) সফট-টাচ ফুটবল ম্যাচ। বেশ কয়েকজন ভারতীয় কিংবদন্তির উপস্থিতির সম্ভবনা ওই খেলায়, সুত্রের খবর, এই বিশেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে মাঠে নামতে পারেন ভারতীয় ক্রীড়া জগতের তারকারা, যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া এবং লিয়েন্ডার পেজ প্রমুখ।ম্যচের শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মেসিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই সফরের অঙ্গ হিসাবে কলকাতা শহরে মেসির একটি মূর্তি উন্মোচন-র আয়োজন চলছে।এই সফরে নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে, ফুড অ্যান্ড টি ফেস্টিভ্যালঅনুষ্ঠিত হবে। কলকাতায় তাঁর প্রিয় পানীয় আর্জেন্তিনীয় ভেষজ চা মাটে-এর সঙ্গে আসামের চায়ের ফিউশন করে একটি বিশেষ খাদ্য ও চা উৎসবের আয়োজন করা হবে।কলকাতা ছাড়াও মেসি ভারতে আরও কয়েকটি শহর সফর করবেন, সেকারনে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার পর মেসি আরও চারটি-শহরে সফর করবেন। যেগুলি হল আহমেদাবাদ, মুম্বাই এবং নয়া দিল্লী। ১৫ই ডিসেম্বর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর ভারত সফর শেষ করবেন। এই সফরের ইভেন্টগুলোর টিকিটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।মেসির প্রতিক্রিয়াদীর্ঘ ১৪ বছর পর ভারতে আসা নিয়ে মেসি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। একটি সরকারি বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফর করতে পারা আমার জন্য খুবই সম্মানের। ভারত খুব স্পেশাল একটি দেশ, এবং ১৪ বছর আগে আমার সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলোর খুব ভালো স্মৃতি আছে এখানকার ভক্তরা ছিল অসাধারণ। ভারত ফুটবল প্রেমী দেশ (passionate football nation), এবং আমি ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের ভক্তদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।২০২৫ এর ডিসেম্বর মাসে ফুটবল কিংবদন্তির আগমন শুধু কলকাতার নয়, গোটা ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এক বিশাল উৎসবের বার্তা নিয়ে আসছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

সাংসদের ওপর হামলায় রাজ্যকে নিয়ে বড় প্রশ্ন মোদির, কড়া জবাব মমতার

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনো উপযুক্ত অনুসন্ধানের জন্য অপেক্ষা না করেই তা-ও আবার যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে যুঝছেন।যখন সমগ্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে, তখন বিজেপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে কোনো খবর না দিয়ে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যাবে?এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা নিয়েও। প্রশ্ন তুলেছেন মোদির নৈতিকতা নিয়েও। তাছাড়া কোনও প্রমান ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন কিছুমাত্র প্রমাণ ছাড়া, আইনানুগ কোনো তদন্ত ছাড়া এবং কোনো প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক নিম্নতা স্পর্শ করল না, যে সাংবিধানিক নৈতিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, সেই নৈতিকতারও লঙ্ঘন হল। যে কোনো গণতন্ত্রে আইন তার নিজস্ব পথ নেয় এবং কোনো ঘটনার দায় নির্ধারিত হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায় -কোনো রাজনৈতিক বেদীর উচ্চতা থেকে করা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে নয়।উত্তরবঙ্গ কাল যাবো, আজ কার্নিভাল !!!কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য ! তা দশমীর চার দিন পর সরকারি অনুদান আর প্রশাসনিক চোখ রাঙানির জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন আটকে রেখে, মিছিল করিয়ে ঘাটে যাওয়া কবে থেকে বাংলার ঐতিহ্য হয়ে গেলো?আর মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গ যেতে আগ্রহী নন কেন, pic.twitter.com/mD0TeqWIaz Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 5, 2025মমতা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল একটি কেন্দ্রে, যেখানে মানুষ নিজেরাই বিজেপির একজন বিধায়ককে নির্বাচন করেছেন। তথাপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত শক্তিমত্তা দেখায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতা অনুভব করলেন না। এই ধরনের অসার এবং অতি-সরলীকৃত সাধারণীকরণ শুধু অপরিণতই নয়, তা দেশের সর্বোচ্চ পদের সঙ্গে মানানসইও নয়।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলা, নিন্দা নরেন্দ্র মোদীর, ফোন রাজনাথ সিংয়ের

বন্যা ও ভমি ধ্বসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এরই মধ্যে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস প্রাণঘাতী হমলা করেছে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন খগেন মুর্মু। আঘাত পেয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জখম সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।আমার Narendra Modi (@narendramodi) October 6, 2025আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।এদিকে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংজি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, তিনি টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং স্পষ্ট বার্তা দেন রাজনীতিতে হিংসার কোনো স্থান নেই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই অন্যায় ও অত্যাচার কখনো মেনে নেবে না। সবাই মিলে এই হিংসার রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal